ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৪৪

বুঝেশুনে আম খান  

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২১ ৬ জুন ২০১৯  

আম ভালোবাসে না এমন মানুষও হাতেগোনা। আমে আছে অনেক পুষ্টি। তবে আম খাওয়ার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, শরীরের দিকে খেয়াল না রেখে আম খেলে আপনার ক্ষতিও হতে পারে। আবার কেমিক্যালযুক্ত কি-না,  সেটিও নিশ্চিত হতে হবে। 

আসুন জেনে নিই :

১. আমে ভিটামিন সি ও ক্যালোরি দুটোর পরিমাণই যথেষ্ট থাকে। মাঝারি সাইজের আমে থাকে ১৩৫ ক্যালোরি। যারা ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের পক্ষে এই কারণেই আম ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝে আম খান।

২. আম রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি ফ্রুকটোজে ভরপুর। তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী, তাদের জন্য আম বড় বিপদ হয়ে দেখা দিতে পারে। ব্লাড সুগার আয়ত্তে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আম না খাওয়াই ভাল। খেলেও নিয়ন্ত্রণ রেখে খান।

৩. আজকাল বহু আমই কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়। ক্যালশিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিকগুলি ব্যবহারের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে শরীরে ক্লান্তি, অবশবোধ করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সব রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং ক্ষতিকর কেমিক্যালযুক্ত আম মোটেও খাবেন না। 

৪. অতিরিক্ত আম খেলে হজমের সমস্যাও হয়। শুধু তা-ই নয়, দিনের পর দিন অতিরিক্ত আম গ্যাসটাইট্রিসের সমস্যাকেও উস্কে দেয় অনেকটা। তাই হজম ক্ষমতাকে ঠিক রাখতে চাইলে ঘন ঘন আম খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

৫. আম খাওয়ার সময় কিছু সচেতনতাও অবলম্বন করতে হয়। খেয়াল রাখুন, আমে লেগে থাকা আঠা যেন কোনওভাবে মুখে লেগে না যায়। এ থেকে মুখে চুলকানি, জ্বালা হতে পারে। বেশ কয়েকদিন এর দাগও থেকে যায়।

৬. আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথায় যারা ভোগেন তারা আম এড়িয়ে চলুন। আম খেলে এই ধরনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। একান্তই আম খেতে চাইলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।

৭. অনেকে আম চিবিয়ে না খেয়ে আমের জুস করে খান। কিন্তু এতে আমের মধ্যে অবস্থিত ফাইবারগুলি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সেই ফাইবারের গুণাগুণ শরীরে কাজে লাগে না। উল্টো পেটের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৮. যাদের ত্বকে অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তারাও আম খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনুন। আম খেলে অনেকের চোখ জ্বালা, হাঁচি, পেটে ব্যথা, ঠান্ডা লেগে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই আম খাওয়ার আগে সচেতন থাকুন।

তবে, এসব কোনো সমস্যা যদি আপনাকে প্রভাবিত না করে তবে নিশ্চিন্তে আম খেতে পারেন।